rising bd News Details

back

বাংলাদেশের চলমান অগ্রগতিকে আরো দৃঢ়ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে এদেশের তরুণেরা। এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত বিশ্বের সবথেকে বড় ক্যারিয়ার ভিত্তিক ভার্চুয়াল সম্মেলন ‘ক্যারিয়ার কন ২০২০’ এর সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

এ কে আব্দুল মোমেন তার বক্তব্যে বলেন, উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ এখন অপ্রতিরোধ্য। করোনা মহামারির মাঝেও আমাদের অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়েছে এবং সবখানে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশের অদম্য এই যাত্রার পেছনে রয়েছে এদেশের তরুণদের বিশাল ভূমিকা।

তিনি আরো বলেন, আগামীর পৃথিবীতে শুধুমাত্র তারাই এগিয়ে যাবে যারা থাকবেন দক্ষ এবং কর্মঠ। তাই তিনি তরুণদের আগামী দিনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত এবং উপযুক্ত হবার জন্য বলেন। মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আমরা পেতে শুরু করেছি, এখন আমরা চাইলেই সারা পৃথিবীর সকল রিসোর্স ব্যবহার করতে পারছি। এই সম্মেলনটিও সম্পূর্ণভাবে ভার্চুয়ালভাবে আয়োজনের মাধ্যমে প্রমাণ হলো তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়াতে বাংলাদেশের অবস্থান কতটুকু মজবুত।

তিনি আশা প্রকাশ করেন ক্যারিয়ার কন এর মতো সৃজনশীল আয়োজনের মাধ্যমে অনেকেই দারুনভাবে উপকৃত হবে এবং নিঃসন্দেহে করোনা পরবর্তী নতুন পৃথিবীর জন্য তারা একটি নির্দেশনা পেয়েছে এই সম্মেলনে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু বলেন, ৬৪টি জেলার জন্য একেকদিন আলাদা বিষয়কে নিয়ে এই সম্মেলন টানা ৬৪ দিন আয়োজন করার মাধ্যমে আমরা সম্ভাবনার নতুন বার্তা দিয়েছি। আমরা মনে করি, এটি বাংলাদেশের জন্যও একটি দারুন বিষয় হয়েছে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তা সবাই উপকৃত হয়েছেন। বর্তমান সময়ে নারীরা সবক্ষেত্রে পুরুষদের সমান পারদর্শিতা প্রদর্শন করছে। আমরা শুধু নারীদের জন্য এই সম্মেলনে বিশেষ কিছু আয়োজন রেখেছিলাম।

ক্যারিয়ার বিষয়ক টানা ৬৪ দিনের এই ভার্চুয়াল সম্মেলনের সমাপনী দিনে উইম্যান অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের (উই) প্রধান নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, আমি অনেক আনন্দিত এই ধরনের আয়োজনের সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত থাকতে পেরে। এমন বৃহৎ সম্মেলন থেকে অনেক নারী উদ্যোক্তা তৈরি হবে বলে আমি আশা রাখি।

সমাপনী অধিবেশন পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের পরিচালক সৈয়দ মাহমুদ মুসা এবং শাহাদাত হোসেন রিয়াদ।