Jugantor News Details

back

প্রথমবারের মতো দেশে অনুষ্ঠিত হল স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প। রকেট মেকিং ও লঞ্চিং ওয়ার্কশপ, স্পেস রোবট মেকিং ওয়ার্কশপ, অ্যাস্ট্রোনট ট্রেনিং, স্পেস প্রোগ্রামিং, স্পেস এডুকেশন, স্পেস লাইফ, টিম ওয়ার্ক, টিম বিল্ডিং স্কিল ডেভেলপমেন্ট, লিডারশিপ ইত্যাদি বিষয়ে দুই দিনব্যাপী এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম আয়োজনে রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রতি দুই দিনব্যাপী আয়োজিত স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পটি শেষ হয়। এবারের আয়োজনে নার্সারি থেকে দশম শ্রেণির ৫০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানের প্রথম দিন সকালে স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী মফিজুর রহমান। তিনি এ সময় বলেন, আজকের বাচ্চারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বাচ্চাদের জন্য এ ধরনের আয়োজন সত্যি প্রশংসনীয়। আজকের আয়োজনের মাধ্যমে বাচ্চারা স্পেস, রোবট, রকেট এগুলো নিয়ে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে নতুন নতুন আবিষ্কারে উৎসাহিত করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকেই স্পেস সায়েন্টিস্ট ও রকেট সায়েন্টিস্ট গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগামী ১০ বছরের একটা পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এ স্পেস ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুই দিনের এ আয়োজনে সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। বাচ্চাদের মাঝে এসে আর্ল মিলার বলেন, তিনি শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেখে খুবই অভিভূত। বিশেষ করে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা এখন থেকেই রকেট তৈরি ও স্পেস রোবট তৈরির মতো বিষয়গুলো জানতে পারছে, যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক একটি বিষয় বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, এ ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আমি ভবিষ্যৎ নভোচারী দেখতে পাচ্ছি। তাছাড়া অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র এবং ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সমান উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারী-পুরুষ সমতার ক্ষেত্রেও এটি একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। তিনি এ সময় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আরও বেশি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত বিষয়ে আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানান।